বিনিয়োগে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকের প্রায় ২০০ শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূলহোতা ও শাহ সুলতান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান শাহ আলমসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (১২ মার্চ) র্যাবের একটি দল নরসিংদী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, নরসিংদীতে গ্রাহকদের দুই শতাধিক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয় শাহ সুলতান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড। যদিও ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রকল্প থেকে মুনাফা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মুনাফার প্রলোভনের ফাঁদে জেলাটির চার উপজেলার কয়েক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধনও নেই প্রতিষ্ঠানটির। এই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পর প্রতারণার শিকার হয়ে পথে বসেছেন হাজারও গ্রাহক।
শাহ সুলতান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের ওই সমিতির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম মো. শাহ আলম। তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীর চরভাসানিয়া এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, ২০১০ সালে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া এলাকার একটি মার্কেটের ২য় তলায় প্রধান কার্যালয় স্থাপন করে শাহ সুলতান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড। সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত ও নিয়ন্ত্রিত দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক ব্যবসায়িক প্রকল্পের মাধ্যমে আকর্ষণীয় মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ শুরু করে। প্রথম দিকে চুক্তি ও শর্ত অনুযায়ী গ্রাহকদের নির্ধারিত মুনাফাও দিতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে শাহ সুলতান টেক্সটাইল মিল, শাহ সুলতান প্রোপার্টিজ ও মার্কেটসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে লাভজনক প্রলোভন দেখানোর কারণে বাড়তে থাকে তাদের গ্রাহক সংখ্যা। পরে পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার পাশাপাশি পলাশ, শিবপুর ও মনোহরদী উপজেলায়ও গড়ে তোলা হয় প্রতিষ্ঠানটির শাখা অফিস।